কল্যাণের প্রতি আহ্বান, সুকৃতির প্রসার ও দুষ্কৃতির অপনোদন
৪০ বছর ধরে দেশের ছাত্র-যুব সমাজের মধ্যে সামাজিক উন্নয়ন, মূল্যবোধের প্রবর্তন, শিক্ষায় অগ্রগতি ও ভ্রাতৃত্বের দৃঢ় চেতনা সৃষ্টি করে চলেছে সংগঠন
আগামী ইভেন্টগুলী
“সুন্দর সমাজ গঠনে, চলো যাই কিশোর অঙ্গনে” – শিরোনামে সারা রাজ্য জুড়ে 10-20 জানুয়ারী পালিত হচ্ছে কিশোর অঙ্গন উৎসব।
কোর্স থাকছে –• ৫০% কোরানিক শব্দকোষ• বাছাইকৃত কুরআনের সূরা ও দোয়া সমূহের ব্যাকরণগত বিশ্লেষণ …
Presented By – Md Mursalim, State Secretary, SIO West Bengal …
Topics like Fighting Stress and Depression, Safeguarding …
Book Talk Series – 3
বইঃ ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
লেখকঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ.)
তারিখঃ ০২/০৯/২০২৩ (শনিবার)
সময়ঃ সন্ধ্যে ৬:৪৫ মিনিট
পর্যালোচকঃ আমিরুল ইসলাম (প্রাক্তন জেলা সভাপতি, এসআইও মালদা)
ZOOM https://us02web.zoom.us/j/86734468952…
Meeting ID: 867 3446 8952
Passcode: 7755
An Inspirational Seminar for All Students
Theme: Battling Youth Issues
Topics like Fighting Stress and Depression, Safeguarding Mental Health, Battling Addictions, Awareness to Stop Ragging/Bullying will be discussed, InshaAllah.
From 3 PM, on Tomorrow – 25th August, 2023.
Come to the Seminar Hall(2nd Floor), Aliah University, Newtown Campus
Make sure to attend and bring your friends who might benefit.
এখনকার আপডেট
এসআইও ছাত্রদের অন্তর্নিহিত প্রতিভার বিকাশে এমন যত্নশীল হতে চায় যাতে সমাজ তাদের শিক্ষা ও প্রতিভা থেকে উপকৃত হতে পারে।
২২ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর দুই পক্ষকাল ব্যাপী এসআইও পশ্চিমবঙ্গ শাখা, “তোমরা সত্যের উপরে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত ও ইনসাফের সাক্ষ্যদাতা হয়ে যাও” এই শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। যার অংশ হিসাবে এস আই ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা গতকাল বারুইপুর অমৃতলাল কলেজ মাঠে এক বিশাল পদযাত্রা ও প্রকাশ্য ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। যার শিরোনাম ছিল “চাই ইনসাফ পূর্ণ সমাজ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস”। এই সমাবেশের প্রধান বক্তা হিসাবে পদযাত্রায় পা মেলান এসআইও -র সর্বভারতীয় সভাপতি রামিস ইকে। তিনি সমাবেশে ছাত্র-বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলেন “ন্যায় ও ইনসাফের জন্য কথা বলতে হলে শুধু নিজের ঘরে, আরাম আয়েশের সাথে বসে বসে বললে হবে না, ন্যায়ের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। আমি মনে করি এসআইও এমন এক সংগঠন যারা ন্যায়ের জন্য লড়াই করে এবং নিজেরাও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।”
এসআইও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সাইদ বি এস আল মামুন বলেন “আমাদের যুব সমাজের সামনে পর্ণগ্রাফি সহ হাজারো অশ্লীলতা ভিডিও আম করে দিয়ে আমাদের মেধা শক্তিকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। সুকৌশলে তাদেরকে ন্যায় ও ইনসাফ এর কথা বলা থেকে, সত্য প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে”। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ চিন্তাবিদ, শিশু সাহিত্যিক ও জামাআতে ইসলামী হিন্দের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি নুরুদ্দিন শাহ, তিনি বলেন “আমাদের দেশে, রাজ্যে তথা গোটা দুনিয়া আমরা চরম নৈরাজ্য লক্ষ্য করছি। কলেজ ক্যাম্পাসে হত্যার প্রতিযোগিতা চলছে। আমাদের ছেলেরা কিছুই চায়না, চায় শুধু শান্তির পরিবেশ, একটা নিরাপদ শিক্ষা ক্ষেত্র”। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসআইও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক আব্দুল ওয়াকিল, রাজ্য বিভাগীয় সম্পাদক এহসানুর রহমান ও গাজী তাওফিক ইসলাম, জামাআতে ইসলামী হিন্দ দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার নাজিম সানোয়ার আলী পৈলান, এসআইও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি উমর ফারুক মোল্লা, জেলা সম্পাদক খুররম মুরাদ প্রমুখ।
- District Updates
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গরূপে দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবিতে বহরমপুরে পদযাত্রা এবং ডিএম অফিসে ডেপুটেশন প্রদান এসআইও-র
মিডিয়াতে এসআইও
- আপনজন
একই দিনে দুটি পরীক্ষা, তাই মাদ্রাসা সার্ভিসের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে দাবি করল এসআইও
- dailyhunt
শুরু হলো ছাত্রসংগঠন এসআইও’র ‘জাগিয়ে নৈতিকতার আলো, শিক্ষাঙ্গনে চলো’ অভিযান
প্রেস রিলিজ
এসআইও আজ ভারতবর্ষে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও আঞ্চলিকতা নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ ছাত্রের হৃদয় স্পন্দন। যারা আসমুদ্র হিমাচল দেশের আনাচে কানাচে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে সেবামূলক কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেদের কাজকে সম্প্রসারিত করে চলছে।
পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন পরিচালিত ২৫তম স্টেট এলিজিবিটি টেস্ট (সেট) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু সাংঘাতিক অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদে অবস্থিত প্রফঃ সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজের একজন শিক্ষক ভিডিও লাইভ করে সেই কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদেরকে আলাদা কক্ষ প্রদান করে অসাধু উপায়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার চরম অভিযোগ তোলেন। কলেজের অধ্যক্ষও অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে কাগজপত্র সহ পুলিশের কাছে সেই অভিযোগকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর লিখিয়েছেন। অন্যদিকে কলেজ সার্ভিস কমিশন চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি অনলাইন মাধ্যমে দেখা গেছে যেখানে পরীক্ষার্থীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাদেরকে আলদা সিক্ রুমের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যা নাকি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর এবং পর্যবেক্ষক অনুমোদন করেছিলেন।
এদিন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ স্টেট এলিজিবিটি টেস্ট (সেট) -এর মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় কোনো রকম অন্যায়-অবিচার মেনে নেওয়া যায় না। বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে যে পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক পরীক্ষাঘরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দিচ্ছেন।” এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এই সকল অভিযোগ যদি ঘটে থাকে তাহলে সকল ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সমান অধিকারকে লঙ্ঘন করা হবে। সাথে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও চরম প্রশ্ন তুলছে। সাইদ মামুন আরও বলেন, “সত্য উৎঘাটনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্ত চালানো অত্যবশ্যক। রাজ্যের সকল পরীক্ষার্থীদের অবিচার থেকে রক্ষা করতে এবং পরীক্ষার সাথে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হওয়া থেকে মুক্ত করতে সকল অভিযোগকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চালাতে হবে। নইলে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর রাজ্যবাসীরা আস্থা হারিয়ে ফেলবে।” সাথে তিনি ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে জানান যে, “অন্যায়ভাবে বা অসাধু উপায়ে পরীক্ষা দিয়ে সামান্য এগিয়ে গেলেও দিনের শেষে আমাদের কৃতকর্মের জবাব আমাদেরকে দিতেই হবে।”
এসআইও শিক্ষায় সমান অধিকার, ন্যায়-বিচার ও মুল্যবোধের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা সহ শিক্ষার সাথে জড়িত সকল বিষয়কে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং তদন্তের মাধ্যমে সত্য স্পষ্ট হওয়ার আশা রাখছি।
ধন্যবাদান্তে,
গাজী তাওফিক ইসলাম
জনসংযোগ সম্পাদক, এসআইও পশ্চিমবঙ্গ
যোগাযোগ – +৯১ ৮৪২০ ৭২২ ৬৭২, ইমেইল – prs.siowb@gmail.com
একজন ছাত্র সরস্বতী পুজোয় চাঁদা না দিতে চাওয়ায় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হচ্ছে। গত পরশু এমনি এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের সাথে। নির্যাতিত ছাত্রের দাবি যে পুজোর চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় প্রায় ৪০ জন ছাত্রের একটি দল তাঁর রুমে গিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁর ওপর হামলা চালায়। এটাও অভিযোগ উঠেছে যে হামলাকারীর দল তাঁকে হুমকি দেয় যে পুজোর চাঁদা না দিলে তাঁকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অর্ডার জারি করেছেন যে নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং পাঁচজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপরিউক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “কোনো অবস্থাতেই কোনো ছাত্রছাত্রীর কাছে জোর করে চাঁদা নেওয়া ভারতীয় সংবিধানের উল্লঙ্ঘন। একজন মুসলিমের জন্যেও পুজোর চাঁদা দেওয়া তাঁর ধার্মিক নীতির বিরোধী। সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে কোন একটি ধর্মের নিয়ম নীতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজোর নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের গুন্ডামী বন্ধের জন্য প্রশাসন ও সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি এই আশাও রাখেন যে যেহেতু জোর করে পুজোর চাঁদা নেওয়া একজন মুসলিম ছাত্রছাত্রীর বিশ্বাসে আঘাত হানে, এই অবস্থায় তাঁকে ঈমান-আক্বিদায় দৃঢ় হতে হবে। সংগঠন সর্বদা এটাই চায় যে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং কোন ধার্মিক বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেকের শিক্ষা গ্রহনের অধিকার বহাল থাকবে।
ধন্যবাদান্তে,
গাজী তাওফিক ইসলাম
জনসংযোগ সম্পাদক
এসআইও পশ্চিমবঙ্গ
যোগাযোগ – +91 8420 722 672
ইমেইল – prs.siowb@gmail.com
একজন ছাত্র সরস্বতী পুজোয় চাঁদা না দিতে চাওয়ায় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হচ্ছে। গত পরশু এমনি এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের সাথে। নির্যাতিত ছাত্রের দাবি যে পুজোর চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় প্রায় ৪০ জন ছাত্রের একটি দল তাঁর রুমে গিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁর ওপর হামলা চালায়। এটাও অভিযোগ উঠেছে যে হামলাকারীর দল তাঁকে হুমকি দেয় যে পুজোর চাঁদা না দিলে তাঁকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অর্ডার জারি করেছেন যে নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং পাঁচজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপরিউক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “কোনো অবস্থাতেই কোনো ছাত্রছাত্রীর কাছে জোর করে চাঁদা নেওয়া ভারতীয় সংবিধানের উল্লঙ্ঘন। একজন মুসলিমের জন্যেও পুজোর চাঁদা দেওয়া তাঁর ধার্মিক নীতির বিরোধী। সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে কোন একটি ধর্মের নিয়ম নীতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজোর নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের গুন্ডামী বন্ধের জন্য প্রশাসন ও সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি এই আশাও রাখেন যে যেহেতু জোর করে পুজোর চাঁদা নেওয়া একজন মুসলিম ছাত্রছাত্রীর বিশ্বাসে আঘাত হানে, এই অবস্থায় তাঁকে ঈমান-আক্বিদায় দৃঢ় হতে হবে। সংগঠন সর্বদা এটাই চায় যে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং কোন ধার্মিক বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেকের শিক্ষা গ্রহনের অধিকার বহাল থাকবে।
ধন্যবাদান্তে,
গাজী তাওফিক ইসলাম
জনসংযোগ সম্পাদক
এসআইও পশ্চিমবঙ্গ
যোগাযোগ – +91 8420 722 672
ইমেইল – prs.siowb@gmail.com
একজন ছাত্র সরস্বতী পুজোয় চাঁদা না দিতে চাওয়ায় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হচ্ছে। গত পরশু এমনি এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের সাথে। নির্যাতিত ছাত্রের দাবি যে পুজোর চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় প্রায় ৪০ জন ছাত্রের একটি দল তাঁর রুমে গিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁর ওপর হামলা চালায়। এটাও অভিযোগ উঠেছে যে হামলাকারীর দল তাঁকে হুমকি দেয় যে পুজোর চাঁদা না দিলে তাঁকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অর্ডার জারি করেছেন যে নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং পাঁচজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপরিউক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “কোনো অবস্থাতেই কোনো ছাত্রছাত্রীর কাছে জোর করে চাঁদা নেওয়া ভারতীয় সংবিধানের উল্লঙ্ঘন। একজন মুসলিমের জন্যেও পুজোর চাঁদা দেওয়া তাঁর ধার্মিক নীতির বিরোধী। সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে কোন একটি ধর্মের নিয়ম নীতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজোর নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের গুন্ডামী বন্ধের জন্য প্রশাসন ও সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি এই আশাও রাখেন যে যেহেতু জোর করে পুজোর চাঁদা নেওয়া একজন মুসলিম ছাত্রছাত্রীর বিশ্বাসে আঘাত হানে, এই অবস্থায় তাঁকে ঈমান-আক্বিদায় দৃঢ় হতে হবে। সংগঠন সর্বদা এটাই চায় যে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং কোন ধার্মিক বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেকের শিক্ষা গ্রহনের অধিকার বহাল থাকবে।
ধন্যবাদান্তে,
গাজী তাওফিক ইসলাম
জনসংযোগ সম্পাদক
এসআইও পশ্চিমবঙ্গ
যোগাযোগ – +91 8420 722 672
ইমেইল – prs.siowb@gmail.com